চন্দনাইশে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার অভিযোগ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার শেবন্দী বরমা ইউনিয়নের মাইগাতা এলাকায় রতন মিস্ত্রির বাড়ী উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ করেছে মৃত্যু শৈলশ্বর দে ছেলে কৃষ্ণ দাশের পরিবার। তাঁর চাচা ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী কৃষ্ণ দাশ জানান, জীবিকার তাগিদে তিনি ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন এবং ১৯৯৮ সাল থেকে সপরিবারে সেখানেই বসবাস করছেন। পিতা মৃত্যুর পর (২০০১ সালে) গ্রামের বাড়িটি চাচাদের দেখাশোনার দায়িত্বে রেখে আসেন। কিন্তু সেই চাচারাই এখন মূল সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
তিনি বলেন, “যাদের পিতার আসনে বসিয়ে পূজা করতাম, তারাই এখন আমাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।”
সম্প্রতি ২৮ অক্টোবর তাঁর ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী বাপ্পি দাশ কৃষ্ণ দাশের জায়গায় গোয়াল ঘর করার জন্য অনুমতি চান কিন্তুু কৃষ্ণ দাশ আদালতে মামলা চলছে বলে কিছুই করা যাবে না বলে চলে যান। যা ফৌজদারী রিভিশন মামলা নম্বর ২৩৭/২০২৫ সিআর মামলা নম্বর ৪১২/২০২৫
তারপরও কৃঞ্চ দাশের বসতভিটায় টিনের ঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণ দাশ থানায় অভিযোগ করেন। এরপর ৩১ অক্টোবর রাতে ওই ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়।
উক্ত ঘর ভাঙচুর বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে বলেন, পাশে মহো উৎস হচ্ছিল এই রকম কোন ঘটনা হলে তো সবাই দেখতো।
কৃষ্ণ দাশ দাবি করেন, “ওরা নিজেরাই ঘর ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হোক।
উক্ত বিষয়ে আমরা মিডিয়াতে প্রতিবাদ ও জানাই।
তিনি আরও বলেন, তার চাচারা তারা যখন শহরে বসবাস করেন, সেই সুযোগে তার পিতার নাম অনুল দাশ নামে এনআইডি করেন। এবং তাদের পিতার নাম শৈলশ্বর দে নামটি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তুু তা আমরা জানতে পেরে মহামান্য আদালতে উপস্থিত হয়ে সংশোধন করি। এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে বরমা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৃত্যু সনদ গ্রহণ করি।
কিন্তুু তাঁর পরও কিভাবে আমার পিতার নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার চাচারা কাগজ পত্র তুলে আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।