খতিবের ফেসবুক পোস্ট দেখে মসজিদে টিন দিলেন সাতকানিয়ার মানবিক ইউএনও
মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)
গত ১৭ অক্টোবর জুমাবার জুমার নামাজের সাথে সাথে সাতকানিয়ায় শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। প্রায় সব মসজিদে আটকা পড়েন মুসল্লীগণ। তবে আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম - কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত নয়াখালের মুখ জামে মসজিদে।
মসজিদটির আশেপাশে কোনো মহল্লা নাই। নয়াখালের মুখের কয়েকটি দোকানের সওদাগর, কাস্টমার, পথচারী এবং আশপাশের ইটভাটার শ্রমিকরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তাদের দানে চলে এই মসজিদ।
কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এই মসজিদে তেমুহানী গ্রামের একজন ছাত্র নামমাত্র সম্মানীতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করেন। জুমাবারে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একই গ্রামের বাসিন্দা, কেরানিহাট আশ-শেফা স্কুলের শিক্ষক মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মসজিদের টিনের চালে প্রচুর বড় বড় ছিদ্র হয়ে যায়। ফলে হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি জমে গিয়ে মসজিদের ভিতরে পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে যায়।
এ অবস্থায় পানি সিঞ্চন করতে করতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ক্লীপ্স আপলোড করেন খতিব মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন।
ভিডিওটি দেখে এগিয়ে আসেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
সোমবার (২০ অক্টেবর) তিনি উক্ত মসজিদের জন্য তিন বান টিন প্রদান করেন।
সংবাদটি তিনি ছবিসহ উপজেলা পরিষদের পেইজে প্রকাশ করেন এবং কমেন্ট বক্সে খতিব মাওলানা নুরুল আলম আরেফীনের ফেসবুক পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এ বদান্যতায় উৎফুল্ল হয়ে খতিব মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন বলেন, "ইউএনও মহোদয়ের এই তড়িৎ পদক্ষেপ স্মরণীয় এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। প্রত্যেক উপজেলায় এমন উদ্যোগী এবং নিষ্ঠাবান নির্বাহী থাকলে দেশ বহুদূর এগিয়ে যাবে।
সাতকানিয়ায় অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে নিজ তহবিল থেকে এর আগে টিন উপহার দিয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হাসান মানবিক কাজে সবসময় সাতকানিয়া'বাসীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিত লাভ করে।