টেকনাফে দাবী বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান:
তৌহিদ উদ্দীন, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় বসতবাড়ি অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো, অটো চালকদের কম খরচে রেজিস্ট্রেশন প্রদান এবং রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলন নামক একটা সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী ও মানবিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাতে চাই যে বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বহু শরনার্থী পরিবার স্থানীয় বসতবাড়িতে অবস্থান করছে, যা স্থানীয় জনজীবনে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করছে। এদেরকে দ্রুত নিজ নিজ নির্ধারিত ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অপরদিকে টেকনাফের বহু নিম্ন আয়ের অটোচালক রয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা অটো চালকদের জন্য অপহরণসহ বিভিন্ন দুষ্কৃতি ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। তাই এই সমস্যাগুলো নিরসনে স্বল্প খরচে স্থানীয় চালকদের রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যাতে করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও সম্প্রতি কিছু রোহিঙ্গা নাগরিকের নামে অবৈধভাবে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব এনআইডি বাতিলের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের পক্ষে রবিউল হাসান মামুন বলেন, স্থানীয় টমটম ও সিএনজি চালকদের ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে আগামী ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজীর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসা, স্থানীয় বসতবাড়িতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা, স্থানীয় টমটম ও সিএনজি চালকদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসা, ১৪ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা ও পাহাড়ে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সবসময় অব্যাহত রাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর পর টেকনাফ প্রেস ক্লাবে রাত ৯ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে দাবী গুলো তুলে ধরেন।
উল্লেখিত তিনটি বিষয় স্থানীয় স্থিতিশীলতা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি ও দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি আমরা। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে টেকনাফের সাধারণ মানুষ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে, যার দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে তারা জানায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের পক্ষে রবিউল হাসান মামুন, সংগঠক (রো.প্র.আ.) ও ছাত্র প্রতিনিধি, জাহেদুল আলম আনাস, সংগঠক ও ছাত্র প্রতিনিধি, মাইনুদ্দিন ভুট্টো, সংগঠক ও সমাজকর্মী, ফারুক, সংগঠক (রো.প্র.আ.), জামিল উদ্দিন, সংগঠক (রো.প্র.আ.) সকলে মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সি.ও বিজিবি ২, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন, অফিসার ইনচার্জ, টেকনাফ মডেল থানা, অধিনায়ক, র্যাব ১৫, টেকনাফ, অধিনায়ক, এপিবিএন, টেকনাফ, অধিনায়ক, কোস্টগার্ড, টেকনাফ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, টেকনাফের কাছে পৃথক পৃথকভাবে এ অনুলিপি প্রদান করেন।