টেকনাফ স্থলবন্দর পুনরায় সচল করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত:
তৌহিদ উদ্দীন, টেকনাফ
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত বানিজ্য টেকনাফ স্থলবন্দর কার্যক্রম পুনরায় সচল করার দাবীতে ব্যবসায়ী, কর্মচারি, শ্রমিকদের উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর দুপুর ২ টার দিকে টেকনাফ কক্সবাজার সড়কের পাশে স্থল বন্দরের সামনে ব্যবসায়ী, কর্মচারি, শ্রমিকদের উদ্যোগে উদ্যোগে পুনরায় স্থল বন্দর খুলে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ, বন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক, (সিএনএফ) ব্যবসায়ী এনামুল কাউন্সিলার,
টেকনাফ পৌরসভা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল জব্বার, স্থল বন্দরের শ্রমিক প্রতিনিধি আজগর মাঝিসহ ব্যবসায়ী, শ্রমিক কর্মচারিগন।
মানববন্ধনে বক্তৃারা বলেন, “আমরা বাচঁতে চাই, আমাদের বাচঁতে দিন” টেকনাফের স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক, সিএনএফ ও শ্রমিকদের আকুতি। তাই পুনরায় টেকনাফ স্থল বন্দর সচল কারার দাবিতে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেমেছি। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসী উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবার এটিকে পুনরায় সচল করার দাবি জানাচ্ছি। এই সীমান্ত স্থল বন্দর দিয়ে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পায়। এবং স্থলবন্দরটিকে চালু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে।
জানা যায়, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সে দেশ থেকে পণ্য আমদানির সময় নাফনদী আরাকান আর্মির সদস্যরা পণ্যবাহী জাহাজগুলো আটকানোসহ বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে উভয় দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ধীরে ধীরে বন্ধ যায়। সব মিলিয়ে সাত মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্ত আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার পর থেকে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমিকদের জীবিকার স্বার্থে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অবিলম্বে টেকনাফ স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি-রপ্তানি পুনরায় সচল করতে হবে।