সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাও তার ছেলেদের দা এর কুপে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নুরুল কবির।
সাতকানিয়া প্রতিনিধি।
আশংকা প্রকাশ করে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিপক্ষের আঘাত থেকে রেহায় পেলনা টমটম চালক, প্রতিপক্ষের দা এর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন দিনমজুর টমটম চালক নুরুল কবির নামে এক ব্যক্তি।
শনিবার বিকালে উপজেলার এওচিয়া ছড়ারকুল সুয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় মোট ৫জন আহত হলেও মারাত্বক আহত হন নুরুল কবির(৩৫) নামে এক যুবক, নুরুল কবির একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে এবং তার ভাই জানে আলম(৩০),মো: আলম(২৫)ও মো:আবছার(৩৫) ও আমির আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম(৫৫)।
জানা যায়, এওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির ৫নং সদস্য আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নজির আহমদ(৪৫)ও নেয়াজুর রহমানরা ভুক্তভোগী নুরুল কবিরদের বাড়িভিটার পাশে একটা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে চাইলে নুরুল কবিরদের ব্যবহৃত টয়লেট উচ্ছেদ করে নির্মাণ সামগ্রী আনেন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল মজিদ ও তার ছেলেরা।
এই ঘটনায় আহত নুরুল কবির আশংকা প্রকাশ করে ৩১শে আগস্ট সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনও করেছিলেন সেদিন।
এদিকে আজ শনিবার বিকালে একই বাউন্ডারি ওয়াল পুনরায় নির্মাণ করার সময় আহত টমটম চালক নুরুল কবিরদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিতে চাইলে উভয় পক্ষে গন্ডগোল শুরু হয়।
এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল মজিদ ও তার ছেলেদের দা এর ধারালো কূপে মাথায় শরীরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুরুল কবির, তাকে বাঁচাতে মা ও ভাই বোনেরা গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করূ হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আহতের জেঠাত ভাই মো:হারুন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নুরুল কবিরকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত নুরুল কবিরের মা মমতাজ বেগম বলেন,৩১শে আগস্ট আমাদের টয়লেট ও রাস্তা বন্ধ করে আওয়ামী লীগনেতা মজিদ ও তার ছেলেরা নির্মাণ কাজ করতে গেলে আমরা অসহায় হয়ে পুলিশের আশ্রয় নিই,তখন আব্দুল মজিদ ও তার ছেলে শহিদ ২/৩শত ছেলেপেলে আনলে আমরা ভয়ে চুপ থাকি তখন পুলিশ ও ছিল।
কিন্তু আজ আবার আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে চাইলে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর এই ঘটনা ঘটায়।
তিনি আরো বলেন নেয়াজুর হাতে কাঁচির মত একটা দা ছিলো ওটা দিয়েই মূলত আমার ছেলের মাথায় আঘাত করেন,এবং শহিদুল ইসলাম খুন্তি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র করে দেয়।
আব্দুল মজিদ বাটাম দিয়ে আমার আরেক ছেলে জানে আলম ও মো: আলমকে বেদড়ক পিটায়, আমরা বাঁচাতে গেলে আমাদেরও পিটিয়ে আহত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত নুরুল কবির জামায়াতের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল অপরদিকে হামলাকারী আব্দুল মজিদ বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হলেও তার ছেলেপেলেদের টাকার জোরে এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন এখনও।
ঘটনার বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন-আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, বিষয়টা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।