কর্ণফুলী নদী ঘাট পারাপার প্রিয়জনের কাছে ফিরতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন হাজারো মানুষ।
বিশেষ প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার আসলেই কর্ণফুলী নদীর ১১ ও ১৫ নম্বর ঘাটে দেখা যায় অতিরিক্ত ভিড়। অফিস শেষের পর প্রিয়জনের কাছে একটু আগেই ফিরার তাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন হাজারো যাত্রী। ধারণক্ষমতার তুলনায় বহুগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ছোট ছোট বোটগুলো ভেসে চলেছে উত্তাল কর্ণফুলীর বুকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘাটগুলোতে যাত্রীচাপ সবসময় বেশি হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক বোট নেই। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বোটে উঠছেন। বোট চালকরা বলছেন, “যাত্রীরাই জোর করে উঠে পড়েন, আমরা নিষেধ করলেও কেউ কথা শোনে না।” অন্যদিকে যাত্রীরা দায় দিচ্ছেন ব্যবস্থাপনার ঘাটতিকে। একজন যাত্রী বলেন, “প্রতিদিনই এই ভোগান্তি। সিটি কর্পোরেশন ও ইজারাদারদের উচিত পর্যাপ্ত বোট নিশ্চিত করা। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যেকোনো সময়।”
নদী পারাপারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন নিয়মিত যাত্রীরা। বিশেষ করে বৃহস্পতিবারের বাড়তি চাপ মোকাবিলায় বাড়তি বোট সংযোজন ও ঘাটে নিয়মিত মনিটরিংয়ের ।