লোহাগাড়ায় সর্ববৃহৎ গণমিছিল
“খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হতেই হবে” — শাহজাহান চৌধুরী
সাতকানিয়া সংবাদদাতা:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক প্যানেল স্পিকার আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে বিনা অপরাধে হত্যা, গুম, কারাগারে বন্দি রেখে নানা ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে। খুনি হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এসব নৃশংস কর্মকাণ্ডে জড়িত।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন তিনি ভারতে বসেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র, শ্রমিক, শিক্ষক, এমনকি শিশু-কিশোররাও আওয়ামী লীগের লেলিয়ে দেওয়া পেটুয়া বাহিনীর গুলির হাত থেকে রেহাই পায়নি। ৩৬ জুলাই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই অপরাধের বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে।
তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত “জুলাই বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকী” উপলক্ষে মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাদীর সভাপতিত্বে এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আ. ন. ম. নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. মাওলানা হেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ নোমান।
সমাবেশে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, “খুনি শেখ হাসিনা ভারতে বসে বলছেন— ‘আমি কী অপরাধ করেছি?’ আপনি জানেন না কী অপরাধ করেছেন? বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গুম করে রাখার জন্য ‘আয়না ঘর’ বানিয়েছেন। বছরের পর বছর নিষ্পাপ, নিরপরাধ রাজনীতিবিদ ও তাদের সন্তানদের আয়না ঘরে বন্দি করে রেখেছেন। অনেককে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সেসময় শিশু-কিশোররাও রেহাই পায়নি। আপনি যে অপরাধ করেছেন, তার বিচার এ বাংলার মাটিতেই হবে।”